নিজস্ব প্রতিবেদক:

কক্সবাজার শিল্প ও বাণিজ্য মেলার জমকালো আয়োজনে উদ্বোধন হয়েছে। রবিবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কক্সবাজার আন্তজার্তিক শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়াম সংলগ্ন পর্যটন গলফ মাঠে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান ও পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম।

বক্তব্যে তাঁরা বলেন, ‘এই মেলা পর্যটন শিল্প বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি অর্থনীতিতে চাকা সচল করবে। এখানে আগত পর্যটক ও স্থানীয় দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে কোন চিন্তা করতে হবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মেলা ঘিরে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে ‘।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের সভাপতি আবু তাহের চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মো. মুজিবুল ইসলাম, সদর মডেল থানার ওসি রকিবুজ্জামান, কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহেদ সরওয়ার সোহেল, এনডিসি রাইসুল ইসলাম, মেলা পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান প্যানেল মেয়র-১ সালাউদ্দিন সেতু, সদস্য সচিব সাহেদ আলী সাহেদ, কো-চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন দুলাল, প্রধান সমন্বয়ক নাসির উদ্দীন, সমন্বয়ক জহিরুল কাদের ভুট্টু, নজরুল ইসলাম, কাশেম আলী, রাশেদুল ইসলাম ডালিম, বেলাল উদ্দিন, খোরশেদ আলম, গিয়াস উদ্দিন, আরিফুল ইসলামসহ আরও অনেকে।

পরে অতিথিরা মেলার স্টল পরিদর্শন করেন।

এবারের আয়োজন জুড়ে থাকছে ব্যতিক্রম। মেলা ঘিরে নেয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা। সিসি ক্যামেরা দ্বারা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হবে সবকিছু। এবারও যৌথভাবে মেলার আয়োজন করেছে কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কক্সবাজার জেলা ইউনিট ও কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রী।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে চলা মেলার কর্মযজ্ঞ প্রায় শেষ পর্যায়ে। মেলার প্রবেশপথে দর্শনার্থীদের স্বাগত জানাবে রাজকীয়ভাবে নির্মিত নান্দনিক বিশাল গেইট। এবার মেলায় থাকছে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের ১০৫টি বিভিন্ন স্টল। থাকবে দেশীয় প্রসিদ্ধ বিভিন্ন কোম্পানীর ২২টি প্যাভিলিয়ন। তারমধ্যে প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন, সাধারণ প্যাভিলিয়ন, মিনি প্যাভিলিয়ন, প্রিমিয়ার স্টল, সাধারণ স্টল, শিশুদের বিনোদনমূলক রাইডস, খাবারের দোকানসহ জমজমাট আয়োজন দর্শনার্থীদের নজর কাড়বে।

কক্সবাজার শিল্প ও বাণিজ্য মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব সাহেদ আলী সাহেদ জানান, এবার অনেক ক্ষেত্রে মেলায় বেশ ভিন্নতা এসেছে। টুইস্ট, লেম্ববাম্বু, ডিজিটাল নাগরদোলা, ইলেকিট্রক নৌকা, কার বাম্পার, ওয়াটার বোট, ওয়াটার বল, ডিজিটাল ট্রেন, জাম্পিং স্লিপার, কার রেসিংসহ শিশুদের জন্য মেলায় বাড়তি বিনোদনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আনা হয়েছে উন্নতমানের ব্যতিক্রমী হরেক রকমের রাইডস।

মেলায় এসেছে আরএফএল, ভিশন, ওয়াকার, ইটালিয়ানো, কম্পী, হোম টেক্সটাইল, ইরানী গোল্ডসহ উন্নতমানের সব ব্র্যান্ড। পছন্দের কাপড় যেমন কিনতে পারবেন, তেমনি পায়ের জন্য আরামদায়ক ওয়াকার ব্র্যান্ডের সব ধরণের জুতোও রয়েছে। মেরিন সিটি মেগামার্টের বিশাল স্টলে মিলবে প্রয়োজনীয় সবকিছু। মহিলাদের কসমেটিকস ও কাপড়ের বাহারী সামগ্রি নিয়ে স্টল খুলেছে অনলাইন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ফ্যাশন জোন। নারীদের উন্নতমানের সাশ্রয়ীমূল্যে সবকিছু থাকছে এই স্টলে। মেলায় এবার খাবারেও এসেছে ভিন্নতা। দই ফুসকা এবারের বিশেষ আকর্ষণ। মেলার মাঠে গেলে সিলেটের বিখ্যাত রূহানী আচার সবাইকে কাছে টানবেই। কারণ স্বাদে আর রুচিতে বেশ ব্যতিক্রম এই আচার।

চলবে জাদু প্রদর্শনী। এছাড়াও মেলা প্রাঙ্গনে তৈরী করা হয়েছে অস্থায়ী নামাজ আদায় কেন্দ্র ও শৌচাগার। সবাইকে নিয়মিত মেলা উপভোগ করার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মেলা পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান কক্সবাজার পৌরসভার প্যানেল মেয়র—১ সালাউদ্দিন সেতু।